কালোজিরা খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা ও নিয়ম
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ব্যাপারে আমারা সবাই কম বেশি জেনে আসছি প্রচিন কাল থেকেই। কালো জিরার দ্বারা সর্ব রকম রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে তাই একে সর্ব রোগের মহিঔষধ বলা হয়। প্রাচিন কালে কালো জিরার ব্যাবহার অনেক বেশি ছিলো।
যে কোন প্রয়োজনে কালোজিরা ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে প্রকৃতিক ভাবে অনেকে চিকিৎসাকে ব্যাবহার করছে না অনেকে এলোপতি ভাবে খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করছে। নিম্নে আমরা কালো জিরার ১০ টি উপকারিতা ও খাবারের নিয়ম ব্যাপারে জানবো।
সূচিপত্রঃ কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম
- কালেজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে
- স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে
- কিডনির সমস্যা দূর করে
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে
- গ্যাসটিকের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে
- ক্যান্সার রোগ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে
- জন্ডিস ও লিভারের সমস্যা দূর করে
- যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে
- শেষকথাঃ কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম ব্যাপারে আজ আমরা বিস্তারিত জানবো। মানুষের শরির কখন কিভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে কেউ বলতে পারে না মানুষের শরিরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতাঙ্গ ভালো রাখার জন্য অনেকে অনেক রকম টিপস ব্যবহার করে তার মধ্যে সবচে কার্যকর টিপস হলো কালোজিরার ব্যবহার। যারা একবার দিনে কালোজিরা খাবে নিয়ম করে তাদের সর্বরকম রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
আমরা যেমন প্রতিদিন নিয়ম করে খাবার খায় ঠিক তেমনি নিয়ম করে কালোজিরা খেতে হবে। কালোজিরার ভিতর অনেক রকম ক্ষমতা রয়েছে যা বিভিন্ন ঔষধের চাইতে কয়েক গুণ বেশি। কালোজিরা একজন মানুষ যদি নিয়ম করে নিয়মিত খায় তাহলে তার শরিরের গঠন থেকে শুরু করে শরির সুস্থ ও সুন্দর হবে। তাই আমাদের সবার প্রতিদিন রাত করে নিয়ম মেনে একবার করে হলে কালোজিরা খাওয়া উচিত তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে
ডায়াবেটিস একটি মারাত্মক সমস্যা হিসাবে চিহৃত হচ্ছে দিনদিন।কারোজিরা থাকা বিশেষ এ্যান্টি-ডায়বেটিক উপাদান গুলো রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।স্বাভাবিক ভাবে খাবার খাওয়া চলেফিরা করা যায় না। ডায়াবেটিসের মাধ্যমে যেকোন রোগের উৎপত্তি শুরু হয়। স্বাভাবিক ভাবে শরির দূর্বল হয়ে পড়ে শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় কালোজিরা নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।শরির সুস্থ ও সুন্দর হবে। আমরা আমাদের নিজেদের ব্যপারে সব সময় সচেতনতা রাখতে হবে কোন রকম রোগ আমাদের শরিরে বাসা বাধতে পারে না।
আর সে জন ডাক্তারের কাছে ও যাওয়া যায় না। বা ঔষধ সেবন করা যায় না বর্তমানে অনেকে আছে যারা কোন কিছুতেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে চাই না বিশেষ করে গ্রামের অনেক মানুষ আছে যারা ডাক্তারের কাছে যেতে চাই না তারা তাদের রোগ ব্যপারে তেমন ধারণা ও রাখতে পারে না। তাদের অজান্তেই ডায়াবেটিস রোগ হয় যা তারা বুঝতেই পারে না আর এ রোগ থেকে বাচতে তাদের নিয়মিতভাবে কালোজিরা খেতে হবে তাহলে এ রোগ থেকে একেবারে মুক্তি পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুনঃ কলা খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা ও নিয়ম
স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম প্রায় অনেকের অজানা তথ্য আবার অনেকে জানে আমরা কালোজিরা খেলে কি কি উপকার হবে এটা সঠিক ভবে জানি না বা বলতে পারি না। কালোজিরা মস্তিষ্কের রক্ত দ্রত সঞ্চালন করতে সাহায়তা করে। আমাদের মস্তিষ্কের জন্য কালোজিরা খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাবার। অনেকের মেধা শক্তি দিন দিন কমে যায়,মানুষ সৃষ্টির পর প্রায় সবার মেধা একি রকম হয়ে থাকে।
কিন্তু অনেক সময়ে দেখা যায় কেউ তার চেষ্টার জন্য অনেক এগিয়ে গেছে আবার অনেকে পিছিয়ে গেছে। আবার অনেকের অনেক মেধা সম্পন্ন হয় থাকে। কেউ যদি নিয়মিত কালোজিরা খায় তাহলে তার স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পাবে। আমরা সারাদিনে অনেক রকম খাবার খেয়ে থাকি সে ব্যপারে আমরা উপকারিতা বা অপকারিতা জনা থাকে না। কালোজিরা খাওয়ার মাধ্যমে অনেক রকম উপকারিতা পাওয়া যায় তার মধ্যে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি অন্যতম।
কিডনির সমস্যা দূর করে
মানুষের অঙ্গ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কিডনি। অনেক রোগের মধ্যে কিডনি সমস্যা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রোগ যা ব্যপারে অমাদের অনেকের জানা নাই। আমাদের অনেকের অজান্তেই অনেক রকম রোগ হয়ে থাকে তার মধ্যে কিডনি সমস্যা একটি। কিডনি সমস্যা দুর করতে কালোজিরার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি নিয়মিত কালোজিরার সাথে একটু মধু মিশিয়ে খায় তাহলে সবচে ভালো কাজ করে।
আমাদের সবার হয়তো জানা আছে কালোজিরা ও মধুর ব্যাপারে যা আমাদের শরিরের অনেক রকম রোগের উপকারিতা হয়ে থাকে। কালোজিরা যদি চিবিয়ে চিবিয়ে খাওয়া যায় তাহলে এর উপকারিতা স্বাভাবিক ভাবে একটু বেশি পাওয়া যায়। আমাদের সবার উচিত নিয়মিত কালোজিরা খাওয়া তাহলে শরির সুস্থ ও সুন্দর থাকবে তাই কালোজিরার গুরুত্ব অপরিসীম।
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে
কালোজিরা ফাইবারের একটি অংশ হওয়াতে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে ভালো ভূমিকা রাখে। এটি শরিরের পানি শোষণ করতে সহায়তা করে। আমরা অনেকেই আছি যারা কোন খাবারের মান নির্ণয় না করে খেয়ে ফেলি যার ফলে খাবারের পরে পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা যায়। আর এ রকম সমস্যা থেকে বাচতে আমাদের নিয়মিত কালোজিরা চিবিয়ে খেতে হবে।
কালোজিরার উপকারিতা অপরিসীম তার মধ্যে অন্যতম হজম শক্তি বৃদ্ধি। এটা শুধু হজম শক্তি বৃদ্ধি করে না এটা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শরিরের বিভিন্ন কোষ গুলোকে রক্ষা করে। গ্যাসের মতো ভয়ানক সমস্যার সমাধান কালোজিরা মাধ্যমে নির্মুল করা সম্ভব। আমাদের সবার উচিত হবে নিয়মিত প্রতিদিন একবার হলেও কালোজিরা চিবিয়ে বা হালকা মধুর সাথে মিশিয়ে খাওয়া তাহলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
গ্যাসটিকের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে
কালোজিরা হলো প্রদাহ বিরোধী একটি উপাদান। কালোজিরা আমাদের শরিরের অনেক রকম রোগের কাজ করে তার মধ্যে গ্যাসটিক সমস্যা অন্যতম। আমাদের সবার জানা দরকার গ্যাসটিক হয় কি কি কারণে আর এ থেকে বাচার উপায় কি।কালোজিরার গুণাগুণ কি কি আমরা নিজেদের খাবারের তালিকা যে ভাবে বানাবো ঠিক সে ভাবে আমরা ভালো থাকতে পারবো অনেকে দেখি একটু ভালো খাবার হলে নিজের ইচ্ছে মতো বেশি খেয়ে ফেলে যার ফলে তার পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুনঃ কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতাতাই আমরা আগে নিজেদের কন্ট্রোল করতে হবে। স্বাভাবিক ভাবে আমরা প্রতিদিন যে পরিমাণ খাবার খায় সে পরিমাণ খাবার খেতে হবে। খাবারের পরে পানি সবচে বেশি খেতে হবে তাহলে স্বাভাবিক ভাবে খাবার টা হজম করতে সহায়তা করবে। আর যদি আমরা নিয়মিত ভাবে কালোজিরা খায় তাহলে গ্যাসটিকের সমস্যা একেবারে নির্মূল হবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে
কালোজিরা আ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকায় মুক্ত রেডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বকে রক্ষা করে। ত্বক আমাদের শরিরের উপরের প্রদর্শনি অঙ্গ। ত্বকের যত্ন কম বেশি সবাই করে থাকি ত্বকের মাধ্যমে অনেকের সুন্দরতা বুঝা যায়। অনেক সময় দেখা যায় ত্বকে ব্রণের কারণে দেখতে খারাপ লাগে আর আমরা সে কারণে সবার সামনে যেতে ও পারি না।
সে জন্য দেখা যায় অনেকেই ত্বকের যত্নের জন্য বিভিন্নরকম ভাবে পদক্ষেপ নিয় থাকে যেমন ফ্রেশ ওয়াস সাবান,বিদেশি ক্রিম বা অনেকেই পার্লারে গিয়ে ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকে। তাতেও সঠিক ভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখা যায় না। আমরা যদি কালোজিরা খায় তাহলে এর আ্যান্টিঅক্সিডেন্টেরের কারণে রেডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নিজের ত্বককে বাচাতে যাবো।
ক্যান্সার রোগ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে
অন্যান্য রোগের চাইতে ক্যান্সার সবচে ভয়ানক রোগ। এ রোগের চিকিৎসা অতি সহজে করা যায় না এর ভালো টিটমেন্ট সাধারণত অনেক দেশে হয় না সে জন্য বাইরের দেশে যেতে হয়। আমাদের গ্রাম বাহ শহরের মানুষেরা অসুখ ব্যাপারে তেমন সচেতন থাকে না। কালোজিরায় বিভিন্ন রোগের মহিঔষধ আছে যা খেলে অন্যন্য রোগের সাথে ক্যান্সার রোগ ও প্রতিরোধ করবে। প্রতিটা জিনিসের কিছু উপকারিতা থাকে তার মধ্যে কালোজিরার উপকারিতা অন্যতম।
কালোজিরা এমনি খাওয়ার উপকারিতা এক রকম আর মধুর সাথে মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অন্য রকম। ক্যান্সার থেকে বাচতে হলে নিয়মিত কালোজিরা খেতে হবে। কালোজিরা ছোট বড় সবাইকে খাওয়া উচিত আমরা তেমন ভাবে রোগ ব্যাপারে সচেতন থাকি না তাই আমাদের সকলের রোগ ব্যাপারে সচেতন থাকা দরকার। বিশেষ করে গ্রামের মানুষের কঠোর পরিশ্রম করে কালোজিরার খওেয়ার মাধ্যমে সকল রোগ থেকে মুক্তি লাভ করা যায়।
জন্ডিস ও লিভারের সমস্যা দূর করে
কালোজিরা লিভারের ফাংশন উন্নত করতে সহায়তা করে। কালোজিরা চর্বি হজম করতে সাহায্য করে। কালোজিরা প্রদাহ বিরোধী কমাতে সাহায্য করে। জন্ডিস যে কোন মানুষের হতে পারে বিশেষ করে ছোটদের জন্ডিস বেশি দেখা যায়। তাই আমাদের সবার সর্তকতা থাকতে হবে। কিডনির সমস্যা সমাধানের সাথে সাথে রিভারের ও সমস্যা সমাধান হয় কালোজিরার মাধ্যমে।
প্রতিটা রোগ সর্ম্পকে অঅমাদের সবার ধারণা থাকা দরকার। তাহলো আগে থেকে সচেতন হওয়া যাবে।সচেতনতা সবচে বড় ব্যাপার কালোজিরার মাধ্যমে পিত্তি উৎপাদন করতে সহায়তা করে। আমাদের শরিরে ভিতর লিভার একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। মানব দেহের সব অঙ্গরে গুরুত্ব আপরিসিম তার মধ্যে লিভার অন্যতম।জিন্ডিস ও লিভারের সমস্যা দূর করতে কালোজিরা নিয়মিত খেতে হবে।
যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে
কালোজিরা শরিরের শক্তি বৃদ্ধি করে ও শরিরের ক্লান্তি কমায় কালোজিরায় টেস্টোস্টেরণ মাত্রা বৃদ্ধি করতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।কালোজিরা অনেক ভাবে খাওয়া যায় তার মধ্যে কেউ যদি কালোজিরা ভেজে চিবিয়ে খায় তাহলে মানষিক চাপ অনেক কমে যায়। আর যৌন মিলনের জন্য সবচে যেটা বেশি জরুনি আমাদের চাপ মুক্ত থাকতে হবে। টেনশান থাকলে কোন ভাবেই মিলন স্বাভাবিক ভাবে হবে না।
অনেক মহিলা আছে যাদের বাচ্চা হয় না আবার অনেক ছেলে আছে যারা শারিরিক ভাবে সবল হয় না যার ফলে বাচ্চা জন্মদানের সক্ষমতা থাকে না। তাদের নিয়মিত ভাবে কালোজিরা খেতে হবে তাহলে মানষিক চাপ কম হবে তার ফলে মিলন স্বাভাবিক হবে। আবার অনেক ভাবে দেখা যায় কালোজিরায় নারী পুরুষ উভায় পক্ষের লিবিডো বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে তাই আমাদের নিয়মিত কালোজিরা খেতে হবে তাহলে যৌন শক্তি দিনদিন বৃদ্ধি পাবে।
শেষকথাঃ কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম
কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম আমরা উপরে পড়ে জেনেছি। কালোজিরার অনেক গুণ তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য কয়েকটি গুণ আলোচনা করেছি। যৌন শক্তি বৃদ্ধি করে,হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, গ্যাসটিক কমায়,শরিরের গঠন বৃদ্ধি করে, মেয়েদের পিরিয়োডের ব্যাথা কমায়,ক্যান্সারের মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জন্ডিস বা লিভারের মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কিডনির সমস্যা দূর হয়। কালোজিরা তেলের গুরুত্ব অপরিসীম কালোজিরা চিবিয়ে বা মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। তবে কেউ যদি কালোজিরার তেল ব্যবহার করে তাহলে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায় আবার শরিরের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। শরিরের বিভিন্ন ব্যাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করলে শরিরের ব্যাথা দ্রত কমে যায়। তাই আমরা পরিশেষে বলতে পারি কালোজিরার গুরুত্ব অপরিসীম।
অলসেবা আইটি ডটকম ওয়েব সেইটে#2495;র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url