কলা খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা ও নিয়ম

কলা খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা ও নিয়ম সর্ম্পকে আমাদের  সবার যেনে থাকা দরকার। কলা অত্যান্ত একটি জনপ্রিয় খাবার। তুলনা মূলক অন্যান্য খাবারের থেকে কলা অনেক বেশি পুষ্টিকর খাবার। কলার মাধ্যমে আমাদের শরিরের অনেক চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে।

কলা-খাওয়ার-১০টি-উপকারিতা-ও-নিয়ম

এবং কলাতে অনেক পুষ্টি থাকে যা দ্বারা শরিরের অনেক ক্ষয় পুরণ হয়। কলা একটি নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারে পরিণতি হয়ছে বর্তমানে। প্রতিটি পরিবারে খাবারের তালিকায় কলা রাখা উচিত। তাহলে আমাদের দেহ ও শরির সুস্থ্য থাকবে। নিম্নে কলার ১০ টি উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

সূচি পত্রঃ কলা খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা ও নিয়ম

কলা খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা ও নিয়ম

কলা খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও নিয়ম হয়তো আমাদের অনেকের অজানা বা কলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম ব্যাপারে অজনা। তাই আজ আমরা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানবো।কলাতে অনেক পুষ্টি থাকে এবং এটা একটি স্বুসাদু খাবার। অনেকে আছে যারা কলা নিয়মিত খেতে চাই না।

কিন্তু সবারি নিয়মিত কলা খাওয়া দরকার। কলাতে অনেক পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। যা মানব শরিরের জন্য অত্যান্ত উপকারি খাবার। আর কলার দাম ও সবার হাতের নাগালেই থাকে। ইচ্ছে করলেই সবাই কলা কিনে নিয়মিত খেতে পারে বা প্রতিদিনের খাবারের রুটিনে পরিণতি করতে পারে। কলা আমাদের একটি জনপ্রিয় খাবার। কলা খেলে আমাদের শরির ঠান্ডা থাকে ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকে এবং দেহের গঠন ভালো হয়।

কলা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে 

পুষ্টি কর খাবারের মধ্যে কলা অন্যতম। কলাতে অনেক পরিমাণ ক্যালসিয়াম আছে যা শরির গঠনে সহায়তা করে। সকল বয়সি মানুষের জন্য কলা খাওয়ার কথা বলা হয়। কলা খেলে আমাদের শরির দ্রত বৃদ্ধি পায়। কলায় থাকে ফাইবার যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। এবং কোষ্ঠকাঠিন্যোর মতো রোগ থেকে মুক্তি মিলে কলা খেলে।

 আর আমাদের পরিপাক তন্ত্রকে সঠিক ভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। তাই আমাদের সবার দিনে একবার হলেও কলা খাওয়া দরকার। তাহলে আমাদের শরিরের অনেক জটিল রোগ থেকে অতি অল্প সময়ে মুক্তি পেতে পারি। আর অন্যান্য খাবারের চাইতে কলার দাম ও অনেক কম থাকে সব সময়। এবং কলা সারাবছর পাওয়া যায় দেশের সব জায়গাতে।

স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে 

কলা খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা ও নিয়ম  তার মধ্যে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি অন্যতম উপকারিতা। সৃষ্টি কর্তা আমাদের সকল মানুষকে সৃষ্টি করেছেন এবং সবাইকে প্রথমে একি রকম স্মৃতি দিয়ে দুনিযায় পাঠিয়েছেন। কিন্তু আস্তে আস্তে তা কম বেশি হয়ে যায়। কারো খাবারের মান ভালো হয় কারো বা কম হয়।

কেউ মেধা খাটায় কেউ বাহ ফেলে রাখে সে জন্য অনেকের কোন কিছু ঠিক ভাবে মনে থাকতে চাই না।স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করতে কলার তুলনা অপরিসীম। কলাতে থাকা ভিটামিন ও ক্যালসিয়ামের জন্য মাথা ঠান্ডা থাকে। এবং  সবকিছুতে মনোযোগ বৃদ্ধি হয় তাই কলা খেলে আমাদের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়। কলা স্মৃতির সহায়ক হিসাবে কাজ করে থাকে।

মাথার চুল পড়া কমায় চুল মজবুত ও বৃদ্ধি করে

মাথার চুল পড়া এখন একটি রোগে পরিণত হয়েছে। আর চুল পড়া যে কোন বয়সি মানুষের হতে পারে। চুল পড়লে আমাদের সকলের টেনশান কাজ করে। আর এর থেকে মুক্তি পেতে কলার পেষ্ট নিয়মিত চুলে লাগালে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। অনেকের রোগা চুলের জন্য মাথায় চুল থাকে না অতি অল্প সময়ে মাথা ফাকা হয়ে যায়। আমাদের শরিরের যেমন পুষ্টির দরকার আছে সে রকম চুলের গোড়ার ও যত্ন নিতে হবে নিয়মিত কলা খেলে চুল মজবুত হবে। 

শুধু চুল পড়া বন্ধ বা চুল মজবুতি হবে না সাথে চুলের বৃদ্ধি ও হবে। সেজন্য প্রতিদিন কলার পেষ্ট ভালো ভাবে মাথায়  দিতে হবে। ও কলা নিয়মিত খেতে হবে তাহলে চুল পড়া বন্ধ ও মজবুত ও বৃদ্ধি পাবে। চুলের যত্ন হিসাবে আমরা অনেক রকম শ্যাম্পু ব্যবহার করে থাকে তাতেও ভালো সুফল মিলে না তাই নিয়মিত কলা খেলে  আমাদের সর্বরকম চুল পড়া চুল মজবুত  ও বৃদ্ধি হবে।

আরো পড়ুনঃ কাজু বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা 

বিভিন্ন রকম ভিটামিন পাওয়া যায় 

কলায় সাধারণত বিভিন্ন রকম ভিটামিন থেকে তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলো: ভিটামিন বি ভিটামিন  সি ভিটামিন ই কলাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম,ক্যালোরি,ফাইবার,প্রোটিন, ও চিনি থাকে। যা আমাদের শরিরের অনেক উপকার করে থাকে। কলা খাওয়ার মাধ্যমে প্রকৃতিক ভাবে এগুলো ভিটামিন আমরা পেয়ে থাকি। 

কলার বিভিন্ন গুনাগুন তার মধ্যে আমাদের শরিরের হাড় মজবুত করে। নিয়মিত রুটিন করে কলা খেলে শরিরের গঠন যেমন বৃদ্ধি পায় ঠিক তেমনি আমাদের শরিরের হাড় মজবুত হয়। তাই আমাদের সবার উচিত নিয়মিত কলা খাওয়া।ওষধের মাধ্যমে অনেক রকম ভিটামিন পাওয়া যাবে। প্রকৃতিক ভাবে ভিটামিন পেতে আমাদের অনেক ফল মুল খেতে হবে তার মধ্যে কলা অন্যতম একটি ফল। 

কলা খেলে কিডনির সমস্যা দূর হয় 

কলা অনেক পুষ্টিকর ও উপকারি খাবার। আমরা অনেকে আছি যারা নিজের শরিরের বা অঙ্গের ঠিক মতো যত্ন নিতে পারি না। তার জন্য আমাদের অযান্তেই অনেক বড় বা জটিল রোগ শরিরে বাসা বাধে।ঠিক তেমনি কিডনির সমস্যা একটি বড় রোগ। আর এই রোগ থেকে বাচতে অনেকে ডাক্তারের কাছে যায়। অনেক রকম ঔষধ খায় ঠিক তাতেও একেবারে নিরময় হয় না। 

অনেকে বেশি টাকা খরচের জন্য ডাক্তারের কাছে ও যেতে চাই না। আমরা যদি নিয়মিত কলা খায় তাহলে কলাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকার জন্য কিডনির কার্যক্ষমতা অনেক গুণ বাড়ায় এবং কিডনি রোগের অনেক ঋুকি কমায়। নিয়মিত কলা খাওয়ার মাধ্যমে পটাশিয়াম এর স্বাভাবিক স্তর বজায় রাখা যায়। 

কলা-খাওয়ার-১০টি-উপকারিতা-ও-নিয়ম

ডায়রিয়া রোগ থেকে মুক্তি পেতে 

ডায়রিয়া একটি মারাত্মক ব্যাধি। ডায়রিয়া হলে আমাদের করণীয়গুলো  কি কি সেটা আগে জানতে হবে। ডায়রিয়া হলে আমাদের বেশি বেশি সেলাইনের পানি পান করতে হবে। খাবারের আগে ও পরে হাত সাবান দিয়ে ভালো ভাবে ধুতে হবে। ডায়রিয়া হলে সবচে উপকারি খাবার হলো কাচা কলা।

ডায়রিয়া হলে শরিরের অনেক খনিজ পদার্থের ঘাটতি পড়ে যায়। আর এ খনিজ পদার্থের ঘাটতি পুরণ করতে কাচা কলার গুরুত্ব অপরিসীম। কলায় থাকে এক রকম স্টার্চ যা পরিপাকের প্রক্রিয়াটিকে সুচল রাখতে সাহায্য করে। ডায়রিয়া যে কোন কারণে হতে পারে। আর এ থেকে মুক্তি পেতে খাবারের সেলাইনের পাশাপাশি কাচা কলা খেতে হবে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ হিসাবে কলা খাওয়া

বর্তমান বাংলাদেশে ভয়ানক রোগের ভিতর ক্যান্সার একটি ভয়ানক মরণ ব্যাধি। গ্রাম ও শহরের অনেক মানুষ আছে যারা ক্যান্সারের ব্যাপারে কোন রকম ধারণা নাই। তাই তারা চিকিৎসা সর্ম্পকে তেমন ধারণা থাকে না। ক্যান্সার থেকে বাচতে অনকে দামি দামি ঔষধ খেতে অনেক টাকা পয়সার দরকার হয়। তাই অনেকে সঠিক ভাবে ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা করতে পারে না।

যদি কেউ  নিয়মিত কলা খায় তাহলে ক্যান্সার রোগের মতো মরণ ব্যাধি রোগ থেকে মুক্তি  পাওয়া যেতে পারে অতি সহজে। কলায় অনেক পরিমাণ  ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনিসিয়াম রয়েছে, যা ক্যান্সার নিরাময়ে অনেক বড় ভূমিকা পালন  করে। আমরা সাধারণত অসুখ দেখলেই ভয় পায়, সেখান থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করি কিন্তু কি উপায়ে অসুখ থেকে দূরে থাকা যায় সে ব্যাপারে অনেকের ধারণা কম।আমাদের নিয়মিত কলা খাওয়া দরকার সবার।

ওজন কমাতে কলার ব্যবহার

আমরা অনেক সময় ফাষ্ট ফুট খেয়ে থাকে। ফাষ্ট ফুটে অনেক পরিমাণ চর্বি থাকে যাতে করে অনেকে অতি অল্প সময়ে মোটা হয় যায়। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পেলে আমাদের স্বাভাবিক চলাফিরার সমস্যা দেখা যায়। আমাদের অনেক রকম খাবার থেকে নিজেদের বিরত রাখতে হবে। তাহলে আমাদের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পাবে না। ওজন কমাতে অনরক সময় আমরা জিমাগারে ভর্তি হয়ে নিয়মিত ব্যায়ম করে থাকি।

কিন্তু আমরা যদি নিজেদের খাবারের তালিকার দিকে একটু নজর দি তাহলে খুব স্বাভাবিক ভাবে ওজন কমে যাবে। আমাদের খাবারের তালিকায় নিয়মিত কলা রাখতে হবে। কলা খাওয়ার মাধ্যমে প্রকৃতিক ভাবে আমাদের অতিরিক্ত ওজন স্বাভাবিক জায়গায় চলে আসবে। বাড়ির ছোট বড় সকলেই কলা খাওয়া দরকার তাহলে ওজন বাড়ার কোন রকম চান্স থাকবে না।বাহ শরির ফোলা হবে না কলা খাওয়ার মাধ্যমে সবকিছু স্বাভাবিক থাকবে কলার উপকারিতা অপরিসীম। 

কলা-খাওয়ার-১০টি-উপকারিতা-ও-নিয়ম

ভালো ঘুম ও মন ভালো রাখে

কলার উপকারিতা অপরিসীম কলায় থাকে এক ধরণের ট্রিপটোফ্যান নামক একটি উপাদান। মাথার সেরোটোনিন হরমোনের উপাদান বাড়ায়। অনেক আমরা বিভিন্ন রকম টেনশনে থাকি। অনেক রকম কাজে ব্যাস্ত থাকি নিজেদের যত্ন নেওয়ার সময় পায় না।টেনশান কমাতে বা দূর করতে কলার গুরুত্ব অপরিসীম। কলা শুধু ভালো ঘুমেরি কাজ করে না মন ভালো রাখতে ও সহায়তা করে।

 আমরা দিনের  কিছু অংশ সময় একাকি থাকি তখন বিভিন্ন রকম টেনশনে মন ভালো  থাকে না। আর কলাতে সেরোটোনিন নামক হরমোন থাকাতে  মনটা স্বাভাবিক ভবে ভালো থাকে। তাই আমরা বেশি বেশি নিয়ম করে কলা খাবো। কলা খাওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন রকম উপকারিতার সাথে সাথে মন ভালো ও ভালো ঘুম ও হবে কলা খাওয়ার মাধ্যমে অনেক ভিটামিন পাওয়া যায়। 

কলা খাওয়ার নিয়ম

কলা সব সময় খাওয়া গেলেও  এর সঠিক কিছু  সময় আছে যে সময় কলা খেলে অনেক খন ভিটামিন পাওয়া যায়। কিছু কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে কলা যদি সকালে খায় তাহলে এর ভিটামিন সারাদিন পাওয়া যায়। আবার অনেক বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন কলানদিনের যে কোন সময় খাওয়া গেলেও  রাতে না খাওয়া ভালো। বিশেষ করে যাদের হাপানি বাহ র্সদি কাশি আছে তাদের রাত করে কলা না খাওয়া ভালো। কারণ এটি একটি শিতল ফল। 

দামের দিক বিবেচনা করলে কলা কিনে খেতে তেমন কোন সমস্যা হয় না কারো। তাই কলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। কখন কি ভাবে কিভাবে কলা খেতে হবে। আবার কাচা কলা ও অনেকে খেয়ে থাকে তরকারির মাধ্যমে বাহ কলার ভর্তা করে। তাই কলা খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে কলা খেলে অনেক পরিমাণ ভিটামিন পাওয়া যাবে। 

শেষ কথাঃ কলা খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও নিয়ম 

কলা খাওয়ার ১০টি উপকারিতা ও নিয়ম  সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত পড়ে আমরা জানতে পারলাম। কাচা কলা বাহ পাকা কলা কি ভাবে খেতে হবে কখন খেতে হবে। কলা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যাবে। কলার মাধ্যমে অতি সহজে ওজন কমাতে পারবেন। কলার মাধ্যমে ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন কলার মাধ্যমে শরিরের গঠন বৃদ্ধি পায়। কলা খেলে রাতকানা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

কলা খেলে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হলে সেখান থেকে নিরাময় পাওয়া যায়। এমন কি ক্যান্সারের মতো মরণ ব্যাধিও কলা খেলে নিরাময় হয়। তাই আমরা সকলে খাবারের রুটিনের সাথে কলাকে ও একটি নিত্য প্রযোজনীয় খাবার হিসাবে বিবেচত করতে হবে। তাহলে  প্রতিটা পরিবারে বিভিন্ন রকম অসুখ কম হবে এবং সুন্দর সুস্থ শরির গঠন হবে।কলাকে সুপার ফুট বলা হয়।পরিশেষে আমরা বলতে পারি কলার উপকারিতা অপরিসীম। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অলসেবা আইটি ডটকম ওয়েব সেইটে#2495;র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url