কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

 


কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সর্ম্পকে আমাদের সবার জানা  অত্যান্ত জরুরি  একটি বিষয়। কিসমিস আমরা অনেক রকম ভাবে খেয়ে থাকি কিসমিসের অনেক উপকার রয়েছে যা আমরা অনেকে জানি না। তাই কিসমিস আমরা যদি নিয়ম করে খায় তাহলে শরিরের অনেক উপকার পাবো

কিসমিস-খাওয়ার-নিয়ম-ও-উপকারিতা

কিসমিস যদি একটি নিয়ম করে আমরা  প্রতিদিন খায় তাহলে আমাদের শরির ও মন উভায় ভালো থাকবে। আমাদের খাবারের তালিকায় কিসমিস রাখতে হবে এতে করে বাসার ছোট বাচ্চা নিয়মিত কিসমিস খেলে  তাদের দেহের গঠন ও চিহারা সুন্দর হবে। তাই কিসমিস সব বয়সি মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারি িএকটি খাবার।

সূচিপত্রঃ কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা


কিসিমস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা স্বাস্থ্য সচেতনতায় অনেকে কিসমিস খেয়ে থাকে। কেউ যদি নিয়মিত কিসমিসের ভিজানো পানি সকাল করে খায় তাহলে অনেক  উপকার হবে শরিরের। আবার কেউ যদি নিয়মিত রাত করে কিসমিস খায় তাহলেও অনেক উপকার পাবে। কিসমিস একটি মুখরোচক খাবার।তবে এটা অনেকটা ঔষধের মতো কাজ করে কিসমিস একটি ড্রাইফ্রুট খাবার সাধারণত আঙ্গর থেকে কিসমিস তৈরি হয়।

কিসমিস খেলে অতি অল্প সময়ে শরিরে এনার্জি পাওয়া যায়।ব্যায়ম করার আগে বাহ ব্যায়ম করার পরে ৮ থেকে ১০ টি করে কিসমিস খেলে ব্যায়ম করার মনোবল বৃদ্ধি পাবে বাহ শরির দূর্বল হবে না।ছোট বড় সকলেই নিয়ম করে কিসমিস খেতে পারে কিসমিস আমাদের খাবারের রুটিনের মধ্যে নিতে হবে তাহলে দেখা যাবে ঔ পরিবারে রোগ অনেক কম হবে পরিবারের সকল সদস্য নিরাপদ থাকতে পারবে। 

শরির ও মন ভালো রাখার উপায়

সব কিছুর আগে আমাদের নিজের শরির ও মন শরির ও মন যদি ভালো না থাকে তাহলে কোন কাজে মন বসে না বা কাজ করতে ভালো লাগে না।আর যদি শরির না ভালো থাকে তাহলে মন এমনিতেই খারাপ হয়ে যাবে। তাই আমরা আমাদের খাবারের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কোন কোন খাবার খেলে শরির ভালো থাকবে কোন কোন খাবার খেলে শরির খারাপ হবে।কোন খাবারে বেশি এনার্জি পাওয়া যাবে সে দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

 কিসমিস একটি এনার্জিটি খাবার যে কোন কাজ করার পর কিসমিস খেলে অতি অল্প সময়ে আবার আগের মতো এনার্জি পাওয়া যাবে।একটি গাড়ির ইঞ্জিন যদি ভালো না চলে  তাহলে ঔ গাড়ি দিয়ে ভালো কিছু আশা করা যাবে না। ঠিক তেমনি শরির যদি ভালো না থাকে তাহলে মন ও ভালো থাকবে না সেজন্য  নিয়মিত কিসমিস খেতে হবে তাহলে শরির ও মন  ভালো থাকবে।


গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায় কিসমিস

আমরা গ্রাম বা শহরের মানুষ অনেকে অজান্তেই অনেক রকম গ্যাসের খাবার খেয়ে ফেলে। এতে আমাদের ভালো হবে না মন্দ হবে সেটা জানার ইচ্ছে করি না।  সাধারণত আমাদের উচিত হবে গ্যাস্ট্রিক জাতীয় খাবার না খাওয়া। আমরা যদি একটি নিয়ম অনুযায়ী কিসমিস খায় তাহলে এই সমস্যা থেকে বাচা যাবে। কিসমিস আমাদের শরিরের অনেক রকম কাজ করে থাকে।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়ার পর ও কিছু কিছু গ্যাস আছে একেবারে ভালো হতে চাই না সাময়িক কিছু সময়ের জন্য ভালো হয়ে আবার তা আগের মতো হয়ে যায়।আর অনেকে আছে ডাক্তারের নিষেধ করা খাবার গুলো  বেশি বেশি খায় সে জন্য গ্যাস্ট্রিক ভালো হতে চাই না। 

আমরা যদি কিসমিস রাতে ভিজিয়ে রেখে সকাল করে নিয়মিত খায় তাহলে গ্যাস্ট্রিকের মতো অনেক রোগ থেকে একবারি মুক্তি পাওয়া যাবে তাই কিসমিস এর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে কিসমিস

প্রতিদিন কয়েকটি করে যদি কিসমিস খাওয়া হয় তাহলে পেট পরিষ্কার থাকে যা খাবার হজম করতে সহায়তা করে।পেটে অনেক সময় বিষাক্ত অনেক রকম পদার্থ থাকে যা খাবার হজম করতে বাঁধা দেয়। এতে করে খাবার সঠিক ভাবে হজম হয় না।তার জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দেখা দেয়।

এমন কোন খাবার খাওয়া যাবে না তাতে করে পেটের সমস্যা দেখা দেয়।খাবারের মানদণ্ড আগে দেখতে হবে কোন কোন খাবার খেলে শরির ভালো থাকবে।আর কোন কোন খাবার খেলে শরির অসুস্থ হবে।আমরা বাঙালিরা না বুঝেয় ভালো খাবার কাছে পেলে অনেক বেশি করে খেয়ে ফেলি।

তখন আমাদের পেটের অনেক রকম সমস্যা দেখা দেয়। এ রকম অনেক সমস্যা থেকে বাচতে কিসমিস নিয়মিত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকাল করে ঘুম থেকে ওঠে কিসমিস ও পানি উভয় যদি প্রতিদিন খেতে পারি তাহলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

কিসমিস-খাওয়ার-নিয়ম-ও উপকারিতা



ত্বকের জন্য কিসমিস উপকারি

কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা অনেক।ত্বকের ভিতরের সমস্যা বা বাইরের সমস্যা দুর করতে কিসমিস এর ভুমিকা অনেক।কিসমিস খেলে ত্বক যেমন সুন্দর ও লাবণ্য হয় ঠিক তেমনি অনেক রোগ থেকে মুক্তি পায়।ত্বকের সুক্ষ্মতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিসমিস অসাধারণ একটি খাবার।

ত্বকের কোষ ও কোলাজেন ফ্রি করে দেয়।  এবং ত্বকের বিভিন্ন দাহ বাহ ব্রণ যদি দেখা দেয় তাহলে নিয়মিত কিসমিস খেলে এ গুলো থেকে বাচা যাবে।তাই আমাদের সবার কিসমিস খাবার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে।

পরিবারের ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত কিসমিস খাওয়া অত্যান্ত দরকার।ছোটরা যদি কিসমিস খায় তাহলে অনেকটা রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারে। কিসমিস খাওয়া প্রতিটা মানুষের জন্য দরকার ওউপকারি খাবার।


ওজন বাড়াতে কিসমিস খাবার

কেউ যদি ওজন বাড়াতে চাই তার জন্য সবচে উপকারি খাবার কিসমিস।কিসমিস খেলে অতি দ্রত ওজন বৃদ্ধি পায়।কিসমিস খেলে শরিরে শক্তি বাড়ে ও হাজম শক্তি বাড়ে আর খাবারের চাহিদাও বেড়ে যায়। আর ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দুর করতে কিসমিস অনেক ভূমিকা পালন করে।

ওজন বাড়াতে নিয়মিত ব্যায়ম এর পাশাপাশি কিসমিস খেতে হবে।অন্য কোন উপায়ে ওজন বৃদ্ধি করা ঠিক হবে না যেমন: মোটা হওয়ার ঔষধ বাহ কোন গাছ গছালি বা কোন হকারের তৈরি খাবার। এগুলো থেকে নিজেকে দুরে রাখতে হবে। আবার লক্ষ রাখতে হবে অতিরিক্ত ওজন যেনো না বাড়ে সেদিকে লক্ষ রাখাতে হবে। স্বাভাবিক ভাবে ওজন বৃদ্ধি করতে কিসমিস এর গুরুত্ব অপরিসীম। 

রক্ত তৈরিতে কিসমিস খাবার

কিসমিসে অনেক পরিমাণ আয়রন ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আছে। যা থেকে অনেক পরিমাণ রক্ত কণা তৈরি হয়। আমরা সাধারণত রক্তের জন্য  অনেক রকম খাবার খেয়ে থাকি যা সঠিক হয় কি না। কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম রক্তের চাপ কমাতে সাহায্য করে। 

কিসমিস খাবারের রুটিনে পরিণতি করতে হবে তাহলে রক্ত তৈরিতে অনেক কার্যকর হবে।তাই পরিবারের সকালের উচিত নিয়মিত সকাল করে কিসমিস খাওয়া।

ক্যান্সার প্রতিরোধে কিসমিস

বর্তমান বাংলাদেশে সবচে বেশি যে রোগটা দেখা যায় তার মধ্যে  ক্যান্সার অন্যতম ভয়ানক আকার ধারণ করছে। গ্রামের অধিক অংশ মানুষ আছে যারা ক্যান্সার সম্পর্কে কোন রকম ধারণা নাই। বাহ ক্যান্সার ব্যাপারে কোন জ্ঞান নাই।বাংলাদেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা খুব একটা ভালো মানের নাই।

থাকলেও অনেক ব্যায় বহুল হয়।আমাদের পার্শবর্তি দেশ ভারতে ক্যান্সার এর চিকিৎসার জন্য  যেতে হয়।ক্যান্সারের জন্য কিসমিস একটি মৌহিঔষধ। ক্যান্সার ছাড়া ও কিসমিসের দ্বারা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রক্ত পরিষ্কার করতে কিসমিসের গুরুত্ব অনেক তাই আমরা সবাই নিয়মিত কিসমিস খেতে হবে তাহলে অনেক রোগ থেকে  মুক্তি পাওয়া যাবে।

কিসমিস-খাওয়ার-নিয়ম-ও উপকারিতা



হাড় মজবুত করতে কিসমিস

কিসমিসে অনেক পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনিসিয়াম আছে যার জন্য হাড় ও  মজবুত হয় ও ব্যাথের ব্যাথা ও ঘাড়ের ব্যাথা নিরিময় পাওয়া যায়। আমরা সাধারণত হাটুর ব্যাথার জন্য ডাক্তারের কাছে যায় এবং অনেক পরিমাণ টাকা খরচ হয়।

অনেক পরিবার আছে যাদের সব সময় ডাক্তারের কাছে যেতে পারে না।সেজন্য আমাদের নিয়মিত কিসমিস খেতে হবে।কিসমিস খেলে শরিরের প্রতিটি অঙ্গের উপকার হবে। শরিরের ক্যালসিয়ামের জন্য আমাদের রাতে কিসমিস ভিজিয়ে রেখে সকালে ঘুম থেকে ওঠে  কিসমিস ও পানি খেতে হবে।

বিভিন্ন খাবারে কিসমিস ব্যবহার

 কিসমিস খাবারের অনেক নিয়ম আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো খাবারের সাথে কিসমিস মিশিয়ে খাওয়া। নিম্নে খাবারের তালিকা উল্লেখ করা হলোঃ

  1. সেমাইয়ের সাথে কিসমিস খাওয়া অত্যন্ত উপকারি। সেমাইয়ের সাথে কিসমিস খেলে এক সঙ্গে অনেক রকম স্বাদ পাওয়া যায়।
  2. ফালুদার সাথে কিসমিসঃ ফালুদা আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় খাবার  ফালুদার সাথে যদি কিসমিস ব্যবহার করে খাওয় যায় তাহলে শরিরের অনেক উপকার পাওয়া যায়।
  3. পোলাওয়ের সাথে কিসমিসঃ বাঙ্গালীদের মধ্যে  পোলাও পছন্দ করে না এ রকম অনেক কম মানুষ আছে। আর যদি পোলাওয়ের সাথে কিসমিস দেয় তাহলে তার স্বাদ ও উপকার উভায় বৃদ্ধি  পায়।

বিভিন্ন রেসিপিতে কিসমিস ব্যবহার করে খাওয়া যায়।আমাদের অনেক উপকার করে আমরা বুঝতে ও পারি না।কিসমিস খাওয়া অত্যান্ত জরুরি একটি খাবার।

শেষ কথাঃ কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা 

কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা বলতে পরিশেষে আমরা বলতে পারি কিসমিস আমাদের শরির মন বিভিন্ন অঙ্গ এর মৌহি ঔষধ হিসাবে কাজ করে।রক্ত তৈরিতে,গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে, খাবারের সাথে মিশিয়ে, হজম শক্তি বৃদ্ধিতে, মেধা বৃদ্ধিতে, ক্যান্সার প্রতিরোধে,হাড় মজবুত করতে ইত্যাদি ভাবে কিসমিস এর গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের সবার উচিত নিয়মিত কিসমিস খাওয়া। 













এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অলসেবা আইটি ডটকম ওয়েব সেইটে#2495;র নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url